- Joined
- May 29, 2025
- Messages
- 135
- Reaction score
- 0
হুসায়েন বিন আলী (রাঃ)
✍ ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
✍ ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
ছাহাবায়ে কেরামের নিকটে হুসায়েন (রাঃ)-এর মর্যাদা :
ছাহাবায়ে কেরামের নিকটে হুসায়েন (রাঃ)-এর উচ্চ মর্যাদা ছিল। তাকে সবাই ভালোবাসতেন। মুহাম্মাদ ইবরাহীম আত-তায়মী বলেন, যখন ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) রেজিস্ট্রি লিখেছিলেন তখন তিনি বদরে অংশগ্রহণকারীদের ন্যায় হাসান-হুসায়েন (রাঃ)-এর জন্যও ভাতা নির্ধারণ করে ছিলেন রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটতর হওয়ার কারণে। তিনি হাসান-হুসায়েন প্রত্যেকের জন্য ৫ হাযার দিরহাম নির্ধারণ করেন।[1]
১. একদা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) মিম্বরের উপরে থাকাবস্থায় হুসায়েন (রাঃ) এসে বললেন, আপনি আমার পিতার (নানার) মিম্বর থেকে নেমে আপনার পিতার মিম্বরে যান। তিনি আমাকে তার সামনে বসালেন। আমার হাতে কিছু নুড়ি পাথর ছিল, যা আমি উলটপালট করছিলাম। তিনি মিম্বর থেকে নেমে আমাকে বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে বললেন, বৎস! তোমাকে এটা কে শিখিয়েছে? আমি বললাম, আমাকে কেউ শিখায়নি। তিনি বললেন, তুমি আমাদের কাছে এসে আমাদেরকে রহমতমন্ডিত করবে। হুসায়েন (রাঃ) বললেন, একদিন আমি ওমর (রাঃ)-এর কাছে এসে দেখলাম তিনি মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর সাথে অবস্থান করছেন এবং ইবনু ওমর তাঁদের কাছে না গিয়ে ফিরে যাচ্ছেন, তখন আমিও ফিরে আসলাম। পরবর্তীতে ওমর (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ হ’লে তিনি বললেন, বৎস! তুমি আমাদের কাছে আসছ না কেন? আমি বললাম, একদিন এসে আপনাকে মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর সাথে একান্তে কথা বলতে দেখলাম, তখন ইবনু ওমর ফিরে গেল এবং আমিও ফিরে গেলাম। তিনি বললেন, বৎস! ইবনু ওমর অপেক্ষা অনুমতি পাওয়ার তুমি অধিক হকদার।[2]
২. আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) হাসান-হুসায়েনের ঘোড়ার রেকাব (পাদানী) ধরে রাখতেন। তিনি মনে করতেন এটা তার প্রতি নে‘মত (সৌভাগ্য)।[3]
৩. ঈযার ইবনু হুরাইছ বলেন, আমর ইবনুল আছ (রাঃ) কা‘বার পাদদেশে উপবিষ্ট ছিলেন। তখন তিনি হুসায়েন বিন আলীকে আসতে দেখে বললেন, এই যুবক দুনিয়া ও আসমানবাসীর প্রিয়’।[4]
ইয়াযীদ ইবনে মু‘আবিয়ার বায়‘আত গ্রহণ :
মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর ঐ সময়ে জীবিত প্রায় ৬০ জন ছাহাবীসহ তৎকালীন ইসলামী বিশ্বের প্রায় সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পরবর্তী খলীফা হিসাবে ইয়াযীদের হাতে আনুগত্যের বায়‘আত করেছিলেন।[5] মদীনার কেবল চারজন ছাহাবী বায়‘আত নিতে বাকী ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর, আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস, আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের ও হুসায়েন ইবনু আলী (রাঃ)। প্রথমোক্ত দু’জন পরে বায়‘আত করেন। শেষোক্ত দু’জন গড়িমসি করলে আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, إِتَّقِيَا اللهَ وَلاَ تَفَرَّقَا بَيْنَ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِيْنَ ‘আপনারা আল্লাহকে ভয় করুন! মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করবেন না’।[6] কিন্তু হুসায়েন (রাঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ) দু’জনেই মদীনা থেকে মক্কায় চলে যান।
হুসায়েন (রাঃ)-এর কূফার উদ্দেশ্যে যাত্রার কারণ :
(ক) কূফাবাসীর পত্র প্রেরণ :
হুসায়েন (রাঃ)-এর ইরাকের কূফায় গমনের নানা কারণ ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-
কূফাবাসী যখন জানল যে, মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর ইয়াযীদের বায়‘আত প্রত্যাখ্যান করে হুসায়েন (রাঃ) মক্কায় চলে গেছেন, তখন তারা সুলায়মান ইবনু ছুরাদের বাড়ীতে একত্রিত হয়। এসময় সুলায়মান ইবনু ছুরাদ বলেন, মু‘আবিয়া (রাঃ) মৃত্যুবরণ করেছেন। হুসায়েন (রাঃ) বায়‘আত করা থেকে বিরত আছেন এবং তিনি মক্কায় গমন করেছেন। আর তোমরা তাঁর পিতার দলভুক্ত। এক্ষণে তোমরা তাকে সাহায্য করতে চাইলে তার নিকটে পত্র লেখ। আর যদি বিশৃঙ্খলা ও ব্যর্থতার ভয় কর, তাহ’লে তোমরা তার সাথে প্রতারণা কর না। তখন তারা হুসায়েন (রাঃ)-কে সাহায্য করতে একমত হয়ে তাঁর নিকটে পত্র প্রেরণ করে এ মর্মে যে, আমরা নু‘মান বিন বাশীরের সাথে জামা‘আতে ছালাত আদায় করব না এবং ঈদেও তার ইমামতিতে ছালাত আদায় করব না। সুতরাং আপনি আমাদের নিকটে আসুন। আপনি আসলে আমরা নু‘মানকে সিরিয়ায় বের করে দিব। সুলায়মান ইবনু ছুরাদ, মুসাইয়েব ইবনু নাজবাহ, রিফা‘আহ ইবনু শাদ্দাদ এবং হাবীব ইবনু মুযাহের-এর পক্ষ থেকে লিখিত পত্র আব্দুল্লাহ ইবনু সাবা আল-হামাদানী ও আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়ালের মাধ্যমে প্রেরিত হয়। এর দু’দিন পরে ক্বায়েস ইবনু মিসহার আছ-ছায়দাবী, আব্দুর রহমান আল-আরহাবী, আম্মারাহ ইবনু উবায়দ আস-সুলূলী পত্র প্রেরণ করে। তারা ৫৩টি পত্র হানী ইবনু হানী আস-সাবীঈ ও সা‘দ ইবনু আব্দুল্লাহ আল-হানাফীর মাধ্যমে প্রেরণ করে। যেসব পত্রে বায়‘আতকারী ও যারা হুসায়েন (রাঃ)-এর আগমন প্রত্যাশা করত, তাদের নাম ছিল।[7] অতঃপর শিবছ ইবনু রবীঈ, হিজার ইবনু আবজার, ইয়াযীদ ইবনুল হারেছ, আযরাহ ইবনু ক্বায়েস, আমর ইবনুল হাজ্জাজ আয-যুবায়দী, মুহাম্মাদ ইবনু ওমর আত-তায়মী পত্র লেখে। তারা হুসায়েন (রাঃ)-কে লিখল যে, ক্ষেত্র প্রস্ত্তত হয়েছে, ফল পরিপক্ক হয়েছে, বাধা দূর হয়েছে। এখন আপনি চাইলেই আপনার সুসজ্জিত বাহিনীর নিকটে আসতে পারেন।[8] হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) উল্লেখ করেছেন যে, কূফার নেতাদের কাছ থেকে ১৫০টি লিখিত অনুরোধপত্র হুসায়েন (রাঃ)-এর নিকটে পৌঁছে।[9]
(খ) হুসায়েন (রাঃ)-এর পক্ষে ইরাকবাসীর বায়‘আত :
কূফাবাসীর প্রেরিত ধারাবাহিক পত্র ও দূতগণের আগমনে হুসায়েন (রাঃ) কূফাবাসীর যথার্থ আগ্রহ ও তাদের কৃত্রিম ভালোবাসা অনুধাবন করেছিলেন। আর তারা তাদের নেতার বিরুদ্ধে বিদ্রাহ করেছিল। তারা ইয়াযীদকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং তারা কূফার গভর্ণর নু‘মান বিন বাশীরকে অচিরেই বের করে দিবে। ফলে তাদের এমন একজন নেতা প্রয়োজন যার অধীনে তারা একত্রিত হবে। তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত নেতা হচ্ছেন হুসায়েন (রাঃ)। তিনি কূফা গমনের চিন্তা তখনই করেছেন, যখন কূফার দূতগণ এসে স্বীকার করল যে, إنـه ليس علينا إمـام ‘আমাদের কোন নেতা নেই’। আর তাঁর পূর্ণ আনুগত্য স্বীকার করে তাকে তারা কূফায় আগমনের আহবান জানাচ্ছে। তারা আরো বলল, لعــل الله أن يجمعنا بك على الهدى والحق، ‘হয়তো আপনার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়াত ও হকের উপরে একত্রিত করবেন’। এসব প্রেক্ষিতে হুসায়েন (রাঃ) ঘটনা যাচাইয়ের জন্য স্বীয় চাচাতো ভাই মুসলিম বিন আক্বীল-কে অগ্রিম কূফায় প্রেরণ করেন।[10] তিনি ৬০ হিজরীর রামাযানের মধ্যবর্তী সময়ে মক্কা থেকে রওয়ানা হয়ে ৫ই শাওয়াল কূফায় পৌঁছেন।[11] হুসায়েন (রাঃ) কূফার নির্ভরযোগ্য কোন ব্যক্তির নিকটে অবস্থানের নির্দেশ দেন।[12] তিনি সেখানে মুসলিম ইবনু আওসাজাহ[13] মতান্তরে হানী ইবনু উরওয়ার নিকটে অবস্থান করেন।[14] তবে তিনি প্রথমে মুখতার ইবনু উবায়দ আছ-ছাক্বাফীর গৃহে অবস্থান করেন। অতঃপর সেখানে থেকে হানীর বাড়ীতে স্থানান্তরিত হন।[15] সেখানে ১২ থেকে ১৮ হাযার লোক হুসায়েনের পক্ষে মুসলিম-এর হাতে আনুগত্যের বায়‘আত গ্রহণ করে।[16] অন্য বর্ণনায় ৩০ হাযারের অধিক লোক বায়‘আত করেন।[17]
(গ) ইরাকবাসীর প্রতি হুসায়েন (রাঃ)-এর পত্র পেরণ :
হুসায়েন (রাঃ)-এর নিকটে কূফাবাসীর ক্রমাগত পত্র আসায় তাদের বায়‘আত গ্রহণের আগ্রহ অবগত হয়ে তিনি একটি পত্র প্রেরণ করেন। যাতে তিনি স্বীয় চাচাত ভাই মুসলিম বিন আক্বীলকে প্রেরণ করা, তাকে সহযোগিতা করা এবং কূফায় গমনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।[18]
(ঘ) মুসলিম বিন আক্বীল (রাঃ)-এর পত্র :
মুসলিম বিন আক্বীল (রাঃ) সরল মনে হুসায়েন (রাঃ)-কে কূফায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করেন। তিনি লিখেন যে, অগ্রবর্তী দূতগণ মিথ্যা বলেননি। সকল কূফাবাসী আপনার পক্ষে। সুতরাং আমার পত্র পেয়ে আপনি চলে আসুন।[19]
পত্র পেয়ে হুসায়েন (রাঃ) হজ্জের একদিন পূর্বে সপরিবারে মক্কা থেকে কূফায় রওয়ানা হয়ে যান। হুসায়েন (রাঃ)-এর আগমনের খবর জানতে পেরে কূফার গভর্ণর নু‘মান বিন বাশীর জনগণকে ডেকে বিশৃংখলা না ঘটাতে উপদেশ দেন। কোনরূপ কঠোরতা প্রয়োগ করা হ’তে তিনি বিরত থাকেন। ফলে কুচক্রীদের কানভারিতে তিনি পদচ্যুত হন ও বছরার গভর্ণর ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদকে তদস্থলে নিয়োগ দেয়া হয় এবং একই সাথে তার উপর কূফার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়। তিনি দায়িত্ব পেয়েই প্রথমে মুসলিম বিন আক্বীলকে গ্রেফতার ও হত্যা করেন।[20] অতঃপর তার সাহায্যকারী হানী ইবনু উরওয়াকেও হত্যা করা হয়।[21]
কূফা যাত্রাকালে হুসায়েন (রাঃ)-কে ছাহাবায়ে কেরামের নছীহত :
হুসায়েন (রাঃ) কূফায় রওয়ানা হওয়ার প্রাক্কালে আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস ও আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ)-এর ন্যায় উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ছাহাবীগণ তাঁকে বারবার নিষেধ করেন এবং আলী (রাঃ) ও হাসান (রাঃ)-এর সাথে কূফাবাসীদের পূর্ববর্তী বিশ্বাসঘাতকতার কথা তাঁকে জোরালোভাবে স্মরণ করিয়ে দেন। ইবনু আববাস ও ইবনু ওমরের বারবার তাকীদ সত্ত্বেও যখন তিনি ফিরলেন না, তখন ইবনু আববাস (রাঃ) তাকে বললেন, যদি ইরাকীরা সত্যিই আপনাকে চায়, তবে তারা সদলবলে এসে আপনাকে সসম্মানে নিয়ে যাক। কিন্তু তারা তো কেবল চিঠি পাঠিয়েছে। কিন্তু হুসায়েন (রাঃ) কোন কথাই শুনলেন না। অবশেষে বারবার অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়ে ইবনু আববাস বললেন, ইরাকীরা প্রতারক। আপনি তাদের ধোঁকায় পড়বেন না। এরপরেও যদি আপনি নিতান্তই যেতে চান, তবে আমার অনুরোধ, আপনি মহিলা ও শিশুদের নিয়ে যাবেন না। আমি ভয় পাচ্ছি যে, ওছমান যেভাবে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সামনে নিহত হয়েছেন, আপনিও তেমনি ওদের চোখের সামনে নিহত হবেন’। এরপর আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) এসে তাঁকে বুঝালেন। কিন্তু তাতেও তিনি ফিরলেন না। তখন তিনি তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে বুক ভাসিয়ে শেষ বিদায় দেন এই বলে, أَسْتَوْدِعُكَ اللهَ مِنْ قَتِيْلٍ ‘হে নিহত! আল্লাহর যিম্মায় আপনাকে সোপর্দ করলাম’।
এভাবে একে একে আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের, মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিইয়াহ, আবু সাঈদ খুদরী, আবু ওয়াক্বিদ লায়ছী, জাবের বিন আব্দুল্লাহ, মিসওয়ার বিন মাখরামাহ, উমরাহ বিনতে আব্দুর রহমান, আবুবকর বিন আব্দুর রহমান, আব্দুল্লাহ বিন জা‘ফর, আমর বিন সাঈদ ইবনুল ‘আছ প্রমুখ ছাহাবীগণ তাঁকে কূফায় না যাওয়ার অনুরোধ করেন। বিশেষ করে আবুবকর বিন আব্দুর রহমান এসে তাঁকে বলেন,هُمْ عَبِيْدُ الدُّنْيَا فَيُقَاتِلُكَ مَنْ قَدْ وَعَدَكَ أَنْ يَّنْصُرَكَ ‘ওরা দুনিয়ার গোলাম। অতএব যারা আপনাকে সাহায্যের নিশ্চিত ওয়াদা করেছে, ওরাই আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে’। কিন্তু সবাইকে নিরাশ করে হুসায়েন জবাব দেন, مَهْمَا يَقْضِى اللهُ مِنْ أَمْرٍ يَكُنْ ‘আল্লাহ যেটা ফায়ছালা করবেন, সেটাই হবে’। এই জবাব শুনে আবুবকর বিন আব্দুর রহমান বলে উঠলেন, ‘ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন’।[22]
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, হুসায়েন যাত্রার ব্যাপারে আমাকে পরাস্ত করেছে। আমি তাকে বললাম,اتق الله في نفسك، والزم بيتك، ولا تخرج أمامك، ‘তুমি তোমার নিজের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর, তোমার ঘরকে আঁকড়ে ধরে থাক, সামনে অগ্রসর হইও না’।[23]
জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি হুসায়েনের সাথে কথা বলেছি। তাকে বললাম,اتق الله ولا تضرب الناس بعضهم ببعض، قوالله ما حمدتم ما صنعتم، فعصاني، ‘আল্লাহকে ভয় কর। মানুষকে পরস্পরের সাথে হত্যায় লিপ্ত কর না। আল্লাহর শপথ! তোমরা যা করতে যাচ্ছ তা প্রশংসনীয় নয়। কিন্তু সে আমার কথা রাখল না’।
আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ) বলেন, আপনি কি এমন এক কওমের নিকটে যাচ্ছেন যারা আপনার পিতা ও ভাইকে হত্যা করেছে? হুসায়েন (রাঃ) বললেন, আমি সেখানে নিহত হলেও মক্কায় থাকা অপক্ষো সেখানে যেতে পসন্দ করি’।[24] অনুরূপভাবে ইবনু মুতী‘ ও ইবনু আইয়াশ কূফাবাসী ও তাদের গাদ্দারী সম্পর্কে হুসায়েন (রাঃ)-কে সতর্ক করেন।[25]
[ক্রমশঃ]
[1]. ইবনু আসাকির, তারীখু দিমাশক, ৩/২৩৮ পৃঃ।
[2]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ৩/২৮৫, ৪/৩৫১; তাহযীবুল কামাল ৬/৪০৪; তাহযীবুত তাহযীব ২/৩৪৬।
[3]. আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৮/৩৮ পৃঃ।
[4]. ইবনু সা‘দ, তাবাকাতুল কুবরা, ১/৪১৯ পৃঃ।
[5]. ইবনু রাজাব হাম্বলী (৭৩৬-৭৯৫ হি.), যায়লু তাবাক্বা-তিল হানাবিলাহ (রিয়াদ : মাকতাবা উবায়কান, ১ম সংস্করণ ১৪২৫ হি./২০০৫ খৃ.) ৩/৫৫ পৃ., বর্ণনা : আব্দুল গণী মাক্বদেসী (৫৪১-৬০০ হি.)।
[6]. ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ (বৈরূত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ৮/১৫০ পৃ.।
[7]. ড. মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল হাদী আশ-শায়বানী ও মুহাম্মাদ সালিম আল-খিযরি, আল-ক্বাওলুস সাদীদ ফী সীরাতিল হুসাইন আশ-শাহীদ, (কুয়েত : মাবাররাতুল আলি ওয়াল আছহাব, ১ম প্রকাশ, ২০১০ খ্রি.), পৃঃ ১৩৫।
[8]. আবুল ফারজ আল-ইছফাহানী, মুক্বাতালুত ত্বালেবীন, পৃঃ ৯৫-৯৬। গৃহীত: আল-ক্বাওলুস সাদীদ, পৃঃ ১৩৬।
[9]. আল-বিদায়াহ ৮/১৫৪।
[10]. ইউসুফ আল-মিয্যী, তাহযীবুল কামাল, ৫/৪২৩ পৃঃ; ইবনু হাজার আসক্বালানী, তাহযীবুত তাহযীব, ২/৩০১ পৃঃ।
[11]. মুরূজুয যাহাব, ৩/৫৫পৃঃ।
[12]. ফুতূহুল বুলদান ৫/৩৬ পৃঃ; মাক্বতালুল খাওয়ারিযমী, ১/১৯৬ পৃঃ।
[13]. তারীকুল উমামি ওয়াল মুলূক, ৩/২৭৫ পৃঃ; মুরূজুয যাহাব, ৩/৫৫পৃঃ।
[14]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ৩/১৯৯ পৃঃ।
[15]. তারীকুল উমামি ওয়াল মুলূক, ৩/২৭৯ পৃঃ।
[16]. তাহযীবুল কামাল ৬/৪২৩; তাহযীবুত তাহযীব ২/৩০১।
[17]. আল-ইক্বদুল ফারীদ, ৪/৩৭৬-৭৭।
[18]. আল-ক্বাওলুস সাদীদ, পৃঃ ১৩৬।
[19]. বালাযুরী, আনসাবুল আশরাফ, ৩/১৬৭ পৃঃ।
[20]. আল-ইছাবাহ, ক্রমিক ১৭২৬ ‘হুসায়েন (রাঃ)’; আল-বিদায়াহ ৮/১৭১।
[21]. ত্বাবারী, তারীখুল উমামি ওয়াল মুলূক, ৩/২৮১-৮২ পৃঃ; মুক্বাতালুত ত্বালেবীন, পৃঃ ৬৭-৬৮।
[22]. আল-বিদায়াহ ৮/১৬২-৬৩; তাহযীবুত তাহযীব ২/৩০৭।
[23]. তাহযীবুল কামাল ৬/৪৬১; আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৯/১৬৫।
[24]. ইবনু আবী শায়বাহ ১৫/৯৫; তাবারী ৫/৩৮৪-৮৫ পৃঃ; তাহযীবুল কামাল ৬/৪৪০; আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৮/১৮৩।
[25]. তাবারী ৫/৩৫১ পৃঃ; ইবনু সা‘দ, তাবাক্বাত ৫/১২৪-১৪৫।
[2]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ৩/২৮৫, ৪/৩৫১; তাহযীবুল কামাল ৬/৪০৪; তাহযীবুত তাহযীব ২/৩৪৬।
[3]. আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৮/৩৮ পৃঃ।
[4]. ইবনু সা‘দ, তাবাকাতুল কুবরা, ১/৪১৯ পৃঃ।
[5]. ইবনু রাজাব হাম্বলী (৭৩৬-৭৯৫ হি.), যায়লু তাবাক্বা-তিল হানাবিলাহ (রিয়াদ : মাকতাবা উবায়কান, ১ম সংস্করণ ১৪২৫ হি./২০০৫ খৃ.) ৩/৫৫ পৃ., বর্ণনা : আব্দুল গণী মাক্বদেসী (৫৪১-৬০০ হি.)।
[6]. ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ (বৈরূত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ৮/১৫০ পৃ.।
[7]. ড. মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল হাদী আশ-শায়বানী ও মুহাম্মাদ সালিম আল-খিযরি, আল-ক্বাওলুস সাদীদ ফী সীরাতিল হুসাইন আশ-শাহীদ, (কুয়েত : মাবাররাতুল আলি ওয়াল আছহাব, ১ম প্রকাশ, ২০১০ খ্রি.), পৃঃ ১৩৫।
[8]. আবুল ফারজ আল-ইছফাহানী, মুক্বাতালুত ত্বালেবীন, পৃঃ ৯৫-৯৬। গৃহীত: আল-ক্বাওলুস সাদীদ, পৃঃ ১৩৬।
[9]. আল-বিদায়াহ ৮/১৫৪।
[10]. ইউসুফ আল-মিয্যী, তাহযীবুল কামাল, ৫/৪২৩ পৃঃ; ইবনু হাজার আসক্বালানী, তাহযীবুত তাহযীব, ২/৩০১ পৃঃ।
[11]. মুরূজুয যাহাব, ৩/৫৫পৃঃ।
[12]. ফুতূহুল বুলদান ৫/৩৬ পৃঃ; মাক্বতালুল খাওয়ারিযমী, ১/১৯৬ পৃঃ।
[13]. তারীকুল উমামি ওয়াল মুলূক, ৩/২৭৫ পৃঃ; মুরূজুয যাহাব, ৩/৫৫পৃঃ।
[14]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ৩/১৯৯ পৃঃ।
[15]. তারীকুল উমামি ওয়াল মুলূক, ৩/২৭৯ পৃঃ।
[16]. তাহযীবুল কামাল ৬/৪২৩; তাহযীবুত তাহযীব ২/৩০১।
[17]. আল-ইক্বদুল ফারীদ, ৪/৩৭৬-৭৭।
[18]. আল-ক্বাওলুস সাদীদ, পৃঃ ১৩৬।
[19]. বালাযুরী, আনসাবুল আশরাফ, ৩/১৬৭ পৃঃ।
[20]. আল-ইছাবাহ, ক্রমিক ১৭২৬ ‘হুসায়েন (রাঃ)’; আল-বিদায়াহ ৮/১৭১।
[21]. ত্বাবারী, তারীখুল উমামি ওয়াল মুলূক, ৩/২৮১-৮২ পৃঃ; মুক্বাতালুত ত্বালেবীন, পৃঃ ৬৭-৬৮।
[22]. আল-বিদায়াহ ৮/১৬২-৬৩; তাহযীবুত তাহযীব ২/৩০৭।
[23]. তাহযীবুল কামাল ৬/৪৬১; আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৯/১৬৫।
[24]. ইবনু আবী শায়বাহ ১৫/৯৫; তাবারী ৫/৩৮৪-৮৫ পৃঃ; তাহযীবুল কামাল ৬/৪৪০; আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৮/১৮৩।
[25]. তাবারী ৫/৩৫১ পৃঃ; ইবনু সা‘দ, তাবাক্বাত ৫/১২৪-১৪৫।