মানুষের মুক্তি ও উন্নতির জন্য যেহেতু আল্লাহর হেদায়াত ও শরীআতের কোনো বিকল্প নেই সেহেতু কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর এই সর্বশেষ ওহি সংরক্ষিত হওয়া অতিশয় জরুরি। আমাদের দয়াময় প্রতিপালক নিজেই সে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় আমিই নাযিল করেছি স্মারকগ্রন্থ এবং আমিই এর সংরক্ষক’। এ মর্মে মুসলিম উম্মাহও তাদের সর্বসাধ্য ব্যয় করেছে এবং শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে মুসলিম জাতি বিশ্বের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর তুলনায় এক অনন্য ও বেনযির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা গ্রন্থরূপে কুরআনকে সঙ্কলনের পর ওহির এই দ্বিতীয় প্রকারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সঙ্কলন করেছে এবং চুলচেরা বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে তার শুদ্ধাশুদ্ধি নিরূপণ করে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। ইসলামি পাঠাগারগুলো এধনের শতশত গ্রন্থ বুকে ধারণ করে সমৃদ্ধ হয়ে রয়েছে।