Welcome!

By registering with us, you'll be able to discuss, share and private message with other members of our community.

SignUp Now!
Headlines
No news have been created yet.

জিজ্ঞাসা ও জবাব - ৪র্থ খন্ড ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

No permission to download
জিজ্ঞাসা ও জবাব - ৪র্থ খন্ড
প্রশ্ন: ০৬। ঢাকা দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের একজন খলীফা, সে নবী করিম (সা.) এর ছবি, হুসাইন রা.এর ছবি, উনার মেয়ের ছবি, আমার এক কলিগের কাছে দিয়েছে। আসলে এটা কতটুকু সত্য?
উত্তর: প্রথম কথা হল, ছবি সংরক্ষণ করা, ভক্তি করা- এগুলো কঠিন হারাম গুনাহ এবং ভয়ঙ্কর শিরক হয়ে যেতে পারে, যদি এগুলোর প্রতি আমরা ভক্তি প্রকাশ করি। দ্বিতীয় যে বিষয়টা, এগুলোর বাস্তবতা। ছবি সংরক্ষণ মূর্তি বানানোকে রাসূলুল্লাহ (সা.) কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন। বিভিন্ন হাদীস এসেছে। এগুলো শিয়া ধর্মে আছে। মূলত রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সাহাবিগণ কখনও ছবি তোলেন নি, আঁকেন নি। পরবর্তী যুগে, যখন পারস্যে উমাইয়া যুগে, আরব অনারব বৈরিতার মাধ্যমে, শিয়া মত ইরান পারস্যে ছড়িয়ে যায়। ইরানের মানুষেরা, অর্থাৎ শিয়া ধর্মের অনুসারীদের মূল বিষয়টা, মূলত ভক্তির উপরে। হাসান, হুসাইন, ফাতিমা, আলী ইত্যাদি ইমামদের ভক্তি করা, তাদের সিজদাহ করা, তাদের মাজারে গিয়ে সিজদা করা, তাদের চাওয়া, তাদের ভক্তিই তাদের দীন। এখানে নামায রোযা ইত্যাদি গৌণ। এদের সমাজে আপনি সবই পাবেন। সেখানে ছবি আছে, মানে ছবিই সেখানে দীন। একমাত্র এই সমাজ ছাড়া মুসলিম উম্মাহর কেউ ছবি ভিত্তিক দীন করেন নি। আমাদের দেশের তরীকা তাসাউফের ভেতরে শিয়ারা ব্যাপক ঢুকেছে। কারণ আমাদের ভারতে ইরানে অন্যান্য জায়গায় শিয়ারা একসময়ে ব্যাপক প্রভাবশালী ছিল। এই তরীকা তাসাউফ পীর-মুরিদী, হাকিকত-মারিফত ইত্যাদি যত গল্পকাহিনী রয়েছে, এর ভেতরে আপনারা কেউ ইরানে গেলে দেখবেন, সব ইরানিদের উদ্ভাবন। কিন্তু দুটো জিনিস আমাদের বাকি ছিল। আমরা শিয়াদের সবই নিয়েছিলাম, দুটো জিনিস আমরা নিয়েছিলাম না। একটা হল, এই ছবি মূর্তি। আরেকটা হল, সাহাবিদের গালি দেওয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন সেই শিয়া ধর্মের ছবি মূর্তি আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এখন দীনের নামে, পীর মুর্শিদের নামে, পীর মুর্শিদের ছবি টাঙানো, তাদের সন্তানদের ছবি টাঙানো অথবা আল্লাহ, রাসূলুল্লাহ (সা.), সাহাবিগণ, তাবিয়িদের অথবা হাসান হুসাইনের ছবি টাঙানো হচ্ছে। প্রথম কথা, এগুলো সব কাল্পনিক। সম্পূর্ণ কাল্পনিক। দ্বিতীয় কথা, এগুলো সংরক্ষণ করা, হিফাযত করা কঠিন কবীরা গুনাহ। এ ব্যাপারে অনেক হাদীস রয়েছে। তৃতীয়ত, এগুলো দেখা কিংবা ভক্তি প্রকাশ করতে গেলে শিরক হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা দয়া করে আমাদেরকে হিফাযত করেন।
Author
Admin
Downloads
0
Views
1
First release
Last update

Ratings

0.00 star(s) 0 ratings

More resources from Admin

Back
Top