উপদেশ’ কথাটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য। মানব সৃষ্টির মূলে উদ্দেশ্য স্রষ্টার ইবাদত করা। সেই স্রষ্টার প্রতি সৃষ্টির কর্তব্য কী তা আমরা অজি ভুলতে বসেছি। ইলাহী বিধানের বাস্তবরূপ ব্যক্তিজীবনে প্রতিষ্ঠা করতে হবে রাসূল ছা.-এর আদর্শে। অথচ মুসলিম উম্মাহ আজ সিরাতে নববী থেকে বিচ্যুত হয়ে অলী-বুজুর্গ ও আকাবিরে দ্বীনের অন্ধ অনুকরণে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবােধের অবক্ষয়ের কারণে মানুষের আন্তঃব্যক্তিক ও সামাজিক সম্পর্কে চিড় ধরেছে ও মানবাধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে। সরলপ্রাণ আপামর জনগােষ্ঠীর মনাে-ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে ধর্মগুরুদের পুঁজিপতি হওয়ার বাসনা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে ওয়াযের মাঠে ওয়ায়েযগণ কুরআন-সুন্নাহর পরিবর্তে অবতারণা করছেন যত সব অলৌকিক লােককাহিনীর। বুকশপ, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, ফুটপাথসহ নানা যানবাহনে ফেরিওয়ালাদের কাছে থেকে সাধারণ মানুষ ইসলামী বই কিনে প্রকৃত ইসলামের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এসব বিষয় মাথায় রেখে সাধারণ মানুষ ও ওয়ায়েযীনের জন্য দিক-নির্দেশনামূলক উপদেশ’ নামক গ্রন্থটি রচনার ক্ষুদ্র প্রয়াস। এটি সমুদ্রতটে নুড়ি কুড়াবার মতাে। এর বৃহদকার্যের দায়িত্ব রয়ে গেল পরবর্তী প্রজন্মের উপর। বর্তমান প্রজন্ম এর দ্বারা সামান্য উপকৃত হলে আমাদের শ্রম স্বার্থক হবে ইনশাআল্লাহ।
এসব বিষয় মাথায় রেখে সাধারণ মানুষ ও ওয়ায়েযীনের জন্য দিক-নির্দেশনামূলক উপদেশ’ নামক গ্রন্থটি রচনার ক্ষুদ্র প্রয়াস। এটি সমুদ্রতটে নুড়ি কুড়াবার মতাে। এর বৃহদকার্যের দায়িত্ব রয়ে গেল পরবর্তী প্রজন্মের উপর। বর্তমান প্রজন্ম এর দ্বারা সামান্য উপকৃত হলে আমাদের শ্রম স্বার্থক হবে ইনশাআল্লাহ।