বাংলার মুসলিমদের মধ্যে সাধারণভাবে আমরা দেখতে পাই যে, তাঁরা তাঁদের ঈমানের বিধিবিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান রাখেন না। অনেক ধর্মভীরু মুসলিমকে ঈমানের আরকান সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয় তিনি ভালভাবে বুঝিয়ে বলতে পারেন না। রিয়াদে অবস্থানকালে আমি একটি ইসলামী কেন্দ্রে কর্মরত ছিলাম। এ কেন্দ্রে ফরাসী, আমেরিকান, ব্রিটিশ, ফিলিপিনো, ভারতীয়, শ্রীলংকান, কানাডিয়ান ও অন্যান্য দেশের অনেক অমুসলিম পুরুষ ও মহিলা ইসলাম গ্রহণ করেন। এরা খুবই আগ্রহ নিয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে আসতেন। আমরা প্রথমেই তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করতাম, তারা কেন ইসলাম গ্রহণ করতে চান? ইসলাম সম্পর্কে তাঁরা কি জেনেছেন? আমরা তাদেরকে ইসলামী ঈমান বা ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম। “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” অর্থ কী? খৃস্টানদের এক আল্লাহয় বিশ্বাস, পৌত্তলিকদের এক আল্লাহয় বিশ্বাস এবং মুসলিমদের এক আল্লাহয় বিশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য কি? ঈমানের আরকান কি কি? কিসে ঈমান বাতিল হয়? র্শিক কাকে বলে? কুফ্র কাকে বলে? ইসলামের মূল বৈশিষ্ট্য কি?
কেন এমন হচ্ছে? যেখানে ঈমানই মূল সেখানে ঈমান সম্পর্কে না জেনে বা ভাসা ভাসা ধারণা নিয়ে কিভাবে আমরা মুসলমান হতে পারি?
আমার মনে হয়, যে কোন বিবেকবান পাঠক অনুধাবন করবেন যে, আমাদের এ অবস্থার পরিবর্তন করা উচিৎ। আমাদের উচিৎ আমাদের দীনের মূল কি তা ভালভাবে জানা। কিসে আমাদের ঈমান দৃঢ় হবে, কিসে ঈমান নষ্ট হবে তা আমাদের জানা উচিৎ। এসকল বিষয়ে এই বইটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করছি।
কেন এমন হচ্ছে? যেখানে ঈমানই মূল সেখানে ঈমান সম্পর্কে না জেনে বা ভাসা ভাসা ধারণা নিয়ে কিভাবে আমরা মুসলমান হতে পারি?
আমার মনে হয়, যে কোন বিবেকবান পাঠক অনুধাবন করবেন যে, আমাদের এ অবস্থার পরিবর্তন করা উচিৎ। আমাদের উচিৎ আমাদের দীনের মূল কি তা ভালভাবে জানা। কিসে আমাদের ঈমান দৃঢ় হবে, কিসে ঈমান নষ্ট হবে তা আমাদের জানা উচিৎ। এসকল বিষয়ে এই বইটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করছি।