দা‘য়ী ও মুবাল্লিগকে অবশ্যই সর্বদা বেশি বেশি কুরআন, হাদীস, তাফসীর, ফিক্হ, ও অন্যান্য ইসলামী গ্রন্থ অধ্যয়ন করতে হবে। আরবী না বুঝলে অনুবাদের সাহায্য নিতে হবে।
অন্যায়ে লিপ্ত বা বিভ্রান্ত যে ব্যক্তিকে তিনি দা’ওয়াত দিচ্ছেন তার প্রতি তার হৃদয়ের অনুভুতি হবে বিপদগ্রস্থ আপনজনের মত। যার বিপদে তিনি ব্যাথা অনুভব করছেন এবং যাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য হৃদয়ের আকুতি অনুভব করছেন।
فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَفْسَكَ عَلَى آَثَارِهِمْ إِنْ لَمْ يُؤْمِنُوا بِهَذَا الْحَدِيثِ أَسَفًا
“তারা এই বাণীতে বিশ্বাস না করলে সম্ভবত আপনি তাদের পিছনে ঘুরে দুঃখ-বেদনায় নিজেকে ধ্বংস করে ফেলবেন।”
কুরআন-হাদীস
বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আলিমদের রচিত গ্রন্থাদি পড়ে দীনকে জানার চেষ্টা করা কঠিন অন্যায় এবং কুরআন-হাদীসে প্রতি অবহেলা ও অবজ্ঞা প্রদর্শন। মহান আল্লাহ কুরআনকে সকল মানুষের হেদায়েতরূপে প্রেরণ করেছেন। তিনি তা বুঝা সহজ করে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) উম্মাতের জন্য তাঁর মহান সুন্নাত ও হাদীস রেখে গিয়েছেন। এগুলির সার্বক্ষণিক অধ্যয়ন মুমিনের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত, শ্রেষ্ঠতম যিকির ও দা’ওয়াতের প্রধান হাতিয়ার।অন্যায়ে লিপ্ত বা বিভ্রান্ত যে ব্যক্তিকে তিনি দা’ওয়াত দিচ্ছেন তার প্রতি তার হৃদয়ের অনুভুতি হবে বিপদগ্রস্থ আপনজনের মত। যার বিপদে তিনি ব্যাথা অনুভব করছেন এবং যাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য হৃদয়ের আকুতি অনুভব করছেন।
তাকে সঠিক পথের
নির্দেশনা দিলে যদি সে তা না মানে বা বিরোধিতা করে তবে আহ্বানকারী মুমিনের হৃদয়ে ক্রোধ বা প্রতিহিংসা জাগ্রত হবে না, বরং বেদনা ও দুশ্চিন্তা তার হৃদয়কে আচ্ছন্ন করবে। বেদনায় তার হৃদয় দুমড়ে মুচড়ে উঠবে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এ অবস্থার কথা আল্লাহ কুরআন কারীমে একাধিক স্থানে উল্লেখ করেছেন। সূরা কাহ্ফ-এর ৬ আয়াতে বলেছেন,فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَفْسَكَ عَلَى آَثَارِهِمْ إِنْ لَمْ يُؤْمِنُوا بِهَذَا الْحَدِيثِ أَسَفًا
“তারা এই বাণীতে বিশ্বাস না করলে সম্ভবত আপনি তাদের পিছনে ঘুরে দুঃখ-বেদনায় নিজেকে ধ্বংস করে ফেলবেন।”